মাইন্ডফুলনেস হচ্ছে এমন একটি মানসিক অবস্থা যা কিনা ইঙ্গিত করে বর্তমান সম্পর্কে এক ধরণের সক্রিয় মনোযোগ ধরে রাখার প্রক্রিয়াকে।
অর্থাৎ যা আমরা করছি , যা আমরা ভাবছি তার সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল বা মগ্ন না থাকা। অতীতে কি হয়েছে বা ভবিষত্যে কি হবে তা নিয়ে পরে না থেকে বর্তমানকে নিয়া চিন্তা করাই মাইন্ডফুলনেস।
যদিও মাইন্ডফুলনেস সম্পর্কে আমরা সবাই মোটামুটি অবগত আছি, তবুও ইহা আমাদের কাছে আরো সহজলোভ্য হয়ে ধরা দিবে যদি প্রতিদিন নিয়মমাফিক আমরা এর চর্চা করি। অর্থাৎ যদি আমরা মাইন্ডফুলনেসটাকে আমাদের অভ্যাসের সাথে জড়িয়ে ফেলতে পারি তবেই কিনা এর সর্বচ্চো সুবিধাটা উপভোগ করতে পারবো।
মাইন্ডফুলনেস আমাদেরকাছে সর্বদা প্রাপ্তিযোগ্য। সাধারণ মেডিটেশন প্রোগ্রাম দ্বারাই হোক কিংবা বডি স্ক্যান এর মাধ্যমেই হোক, মাইন্ডফুলনেস আমাদের সব কাজ থেকে একটা বিরতি নিয়ে কিছুক্ষন নিঃশ্বাস ফেলে আশে পাশের পরিবেশ, বিষয়গুলোকে অনুভব করতে শেখায়।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, এই যে আমরা এত মাইন্ডফুলনেসের কথা বলছি, বর্তমানকে অনুভব করার কথা বলছি, এর সুবিধাটা কোথায়? বৈজ্ঞানিকভাবে ৫টী উপকারিতা আছে এই মানিডফুলনেস চর্চার –
- নিজের ব্যাথা, কষ্টটাকে বুঝতে পারা
- আশে পাশের মানুষজন, পরিবেশের সাথে নিজেকে কানেক্ট করতে পারা
- ইহা আপনার স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে
- মনকে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে ফোকাস করতে পারা
- ব্রেইনের মধ্যকার অনর্থক বক বক কমানো।
মাইন্ডফুলনেস কোনো অস্পষ্ট বা অদ্ভুত ধারণা না। এটা আমাদের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যমান এবং আমরা এর উপস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত। আমাদের সকলের মধ্যেই বর্তমানে থাকার সামরথ্য আছে এবং তার জন্য আমাদের নিজেদেরকে পরিবর্তন করা কোনো প্রয়োজন পরেনা শুধু দরকার একটু চর্চার।যে কেউ যেকোনো অবস্থানে মাইন্ডফুলনেস চর্চা করতে পারে।এর জন্য না আছে কোনো বয়স, শ্রেণী , কাজের বাধা।তাই আসুন আমরা মাইন্ডফুলনেসের মাধ্যমে আশে পাশের সকল বিক্ষেপ থেকে নিজেদের একটু সরিয়ে বর্তমানকে নিয়ে থাকার চেষ্টা করি।
লিখেছেন – অর্থি