It'sOkay to Talk
Sazzad Chowdhury posted an update Sep 24, 2018 11:12 am
আপনার শিশুর সাথে আপনার সম্পর্ক বা সংযুক্তির (attachment) ধরণকে মনোবিজ্ঞানীরা তিনটি ভাগে ভাগ করে থাকেন:
১) নিরাপদ সংযুক্তি ( Secure Attachment )
এক্ষেত্রে শিশু তার অভিভাবকের সাথে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করে কিংবা অভিভাবককে কেন্দ্র করে আশেপাশের সকল কিছু আবিষ্কার করতে চেষ্টা করে। অভিভাবক তার শিশুর চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দেন ফলে শিশুও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে যে প্রয়োজনের সময় তারা বাবা-মায়ের সাহায্য পাবে। কোনো বিপদে পড়লে তারা সহজেই অভিভাবকের সাহায্য নেয় অর্থাৎ বলতে পারে। তাদের কাছে অভিভাবক বন্ধুর মত, নিরাপদ আশ্রয়।
২) উদ্বিগ্ন-পরিহারমূলক সংযুক্তি (Anxious-Avoidant Attachment)
এক্ষেত্রে শিশু ধীরে ধীরে নতুন বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নতুন পরিবেশে, নতুন কিছুতে তারা অভিভাবকের সাহায্য ছাড়াই আবিষ্কার ও সমাধান করার চেষ্টা করে। শারীরিক এবং আবেগীয় দুই ভাবেই শিশু ও তার অভিভাবকের মধ্যে দূরত্বে তৈরী হয়। যেসকল পরিবারে বাবা-মা সন্তানের প্রতি তেমন সংবেদনশীল নন বা তার চাহিদা পূরনের দিকে খেয়াল রাখেন না তাদের ক্ষেত্রে সন্তানের সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে উঠে। সন্তান তাই কোনো ঝামেলায় পড়লে অভিভাবকের সাহায্য নেয় না। শিশু নিজের মত করে বড় হয় এবং নিজের মত পারলে সমস্যা সমাধান করবে তবু বাবা মাকে কিছুই জানাবেনা। তাদের মধ্যে অভিভাবককে এড়িয়ে চলার প্রবণতা তৈরী হয়।
৩) উদ্বিগ্ন-বিপরীত সংযুক্তি ( Anxious-Ambivalent Attachment)
এক্ষেত্রে সন্তানকে বাবা-মায়ের প্রতি নির্ভরশীল থাকতে দেখা যায় তবে পারস্পরিক বোঝাপড়া হয়ে ওঠে না। সন্তান বাবা মায়ের কাছে নিরাপদ বোধ করেনা আবার তাদের থেকে দূরে গিয়ে নিজের মত কিছু করতেও পারেনা। তারা সকল বিষয়ে অনিশ্চিত থাকে। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে উঠতে সময় নেয়। মূলত এই পরিস্থিতি তখনই তৈরী হয় যখন অভিভাবকেরা সন্তানের চাহিদা পূরনের ক্ষেত্রে একেক সময় একেক আচরণ করেন। মাঝে মাঝে বোঝেন আবার মাঝে মাঝে বোঝেন না। তাই ঝামেলায় পড়লে বাবা মাকে বলতেও পারেনা আবার নিজ থেকে সমস্যা সমাধান করতেও অক্ষমতা দেখা দেয়।