এক কাপ বিষণ্ণতা গিলে খেলো আমাদের।

Share

হৈমর জানালার কাঁচে প্রচণ্ড রকমের মন খারাপের একটা বিকেলের রোদ এসে পড়েছে। হৈমর তাই ভীষণ রকমের মন খারাপ। মন খারাপের পিছনে সঙ্গত কোন কারন নেই। দুপুরের দিকে হৈম একবার ঘুমিয়েছিলো। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই কেমন জানি ভালো লাগছে না। কেমন যেন হতাশ হতাশ লাগছে। অর্থহীন মনে হচ্ছে সবকিছু। এই গাঢ় বিষাদটা হৈমর স্বভাবে নিয়ত। মাঝেসাঝেই আজকাল এমন মন খারাপ হয়ে থাকে। কিন্তু খুব গভীরে তলিয়ে দেখতে গেলে আবিষ্কার করা যাবে, এই মন খারাপের পিছনে কোন শক্তিশালী কারন নেই। আদতপক্ষে ছোটখাটো কারনও নেই।

এই যে হৈমর মন খারাপ প্রসঙ্গ টেনে আনলাম। বিকেলের কাঁচে করলাম এক টুকরো বিষণ্ণতার গল্প। এখন যদি প্রশ্ন করি, বিষণ্ণতা কি? এর যথোপযুক্ত জবাব আমরা কয়েকটা প্রশ্ন করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে দেখি।

তো, বিষণ্ণতা কি? এক কথায় উত্তর হতে পারে, বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন হলো মানসিক ভাবে অসুস্থ অনুভব করা। আরো একটু গুছিয়ে বলা যায়, বিষণ্ণতা এক প্রকার মানসিক ব্যাধি যার কারনে কোন একটা ব্যাক্তির মন-মেজাজ চরমভাবে অবনতি ঘটতে থাকে। তখন আর কিছুই ভালো লাগেনা। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয়না। কোন কাজ করতে ইচ্ছে হয়না। মারাত্মক অবস্থায় বিষণ্ণ ব্যাক্তির কাছে বেঁচে থাকাটাই হয়ে পড়ে প্রচণ্ড রকমের পেইনফুল। তখন তার ভীষণ রকম ভাবে মরে যেতে ইচ্ছে করে। কি ভয়ংকর কথা!

এরপরের প্রশ্ন। বিষণ্ণতা কেন হয়? জবাবে বলা যায়—বিভিন্ন রকমের ঘটনার ফলাফল হতে পারে বিষণ্ণতার পিছনে কারন। অফিসে অনেক খাটখাটনি করে একটা প্রজেক্ট দাড় করানোর পরে বসের ঝাড়ি খেলে বিষণ্ণতা আসতে পারে। অনেক পড়াশুনা করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলেও আসতে পারে! প্রেমে বিফল হয়ে আসতে পারে। আর দ্বিতীয় যে কারনে বিষণ্ণতা আসতে পারে সেটা হলো, একঘেয়েমিতায়। দিনের পর দিন একটা নির্দিষ্ট কাজ করেই যেতে যেতে কেউ হয়ে উঠতে পারে ডিপ্রেসড!

বিষণ্ণতা আসার পিছনের কারন না হয় বোঝা গেলো। এখন আমরা আরো একটু গভীরে যাবার চেষ্টা করি। বিষণ্ণতা হয় কেমন করে? আরো একটু নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, মানুষ আসলে বিষণ্ণতা ব্যাপারটা অনুভব করে কিভাবে? এই যে আমাদের আনন্দের অনুভূতি হয়, ভয়ের অনুভূতি হয়, ঠিক তেমনই বিষণ্ণতার অনুভূতি হয়। এই অনুভূতি ব্যাপারগুলো কাজ করে আসলে কিভাবে?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য আমরা একটু মানুষকে কাটাছেড়া করবো। খুব গভীরে যাবো না। একটা লজিকাল পয়েন্ট থেকে আমরা বিষণ্ণতা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করবো। কারন আমরা যদি এটা জেনে ফেলতে পারি, ব্যাপ্তর হলো, না। পারিনা। একেবারেই কি পারিনা? উত্তর হলো, একেবারেই পারিনা এই কথাটা সত্য না। আমরা একটা ভুল তথ্য মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দিয়ে একটা প্রভাব ফেলতে পারি। We can’t control but can put an effect.

বুঝিয়ে ভেঙে বলছি। মনে করি একটা বাজে ঘটনা ঘটলো। ধরা যাক রিলেশন ব্রেক আপ হয়ে গেলো কারো। আমাদের দেশে তরুণ সমাজের কমন একটা সমস্যা। মস্তিষ্ক ঘটনাটা বিশ্লেষণ করে দেখলো ব্যাপারটা দুঃখজনক। একটা রিলেশন ব্রেক আপ হয়ে গেলে মানুষের কষ্ট পেতে হয়। মস্তিষ্ক তখন অ্যামিগডালার রিসেপ্টরগুলো থেকে দুঃখের নিউরো ট্রান্সমিটারগুলো রিলিজ করতে থাকলো। সেগুলোর মাঝে রিয়্যাকশনের ফলাফলে যে বৈদ্যতিক তরঙ্গ উদ্ভব হলো, মস্তিষ্ক সেই তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারলো, এটা দুঃখের অনুভূতি। তখন ওই অনুভুতিটা অনুভব হতে থাকলো। এখন কেউ যদি অনবরত ভাবতে থাকে, একটা বাজে ঘটনা ঘটে গেছে। তার রিলেশন ভেঙে গেছে। রিলেশন ভেঙে গেলে দুঃখ পেতে হয়, তাহলে সেই ব্যাপারটাই ঘটবে। সে দুঃখ পাবে।

কিন্তু কেউ যদি মস্তিষ্কে কায়দা করে এই তথ্যটা ঢুকিয়ে দিতে পারে, দুঃখের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। কিংবা বিষণ্ণ হওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিক একটা ব্যাপার, এই ব্যাপারটা ঘটতেই পারে। মস্তিষ্ক এই তথ্যটা গ্রহণ করে নিলে তার অ্যামিগডালা আর ওই হরমোন ক্ষরণ করবে না। কাজেই তার বিষন্নতার ওই বাজে অনুভুতিটা অনুভূত হবেনা।

তাহলে ব্যাপার যেটা দাঁড়ালো সেটা হলো, আমরা বিষণ্ণ হই কারন আমরা বিষণ্ণ হতে চাই। আমরা আনন্দ পাই কারন আমরা আনন্দ পেতে চাই। আমরা দুঃখ পাই কারন আমরা দুঃখ পেতে চাই।

কথা হচ্ছে, যেভাবে বলে ফেললাম, এই ব্যাপারটা কি তাহলে এতই সোজা। না, এত সোজা না। মস্তিষ্কে একটা অনুকূল তথ্য ঢুকিয়ে দিতে পারাটা সোজা কোন ব্যাপার না। আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড এই পুরো ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু কনসাস অংশ দিয়ে আমরা এই সাবকন্সাস এর উপর একটা প্রভাব ফেলতে পারি। That might help.

এখান থেকেই মেডিটেশন নামের একটা আলাদা রকমের আর্টস এর উদ্ভব। সাবকন্সাস মাইন্ডের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা অর্জন করা। কিন্তু আমরা আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনে ছোটখাটো কিছু লাইফ হ্যাকিং শিখে রাখলে আলাদা করে মেডিটেশনের চর্চার আর দরকার পড়বে না।

প্রথমত সিরিয়াস ভাবে সব ব্যাপার গ্রহণ করার দরকার নেই। আমরা যে ইউনিভার্সে বাস করি সেখানে এনট্রপি বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্যাওস থিওরির মত করে এক গুচ্ছ ঘটনা প্রবাহ হয়। সেই কারনবশত যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনাগুলো আমাদের নরমাল ভাবে গ্রহণ করে নেওয়া শিখতে হবে। দ্বিতীয়ত যখনই মন খারাপ হবে, মস্তিষ্কের মাঝে এই ব্যাপারটা ঢুকিয়ে দিতে হবে, আরেহ আমার মন খারাপ হ০রটা কাজ করে কিভাবে? আমরা অবশ্যই জেনে ফেলতে পারবো কিভাবে ব্যাপারটাকে কাজ না করানো যায়।

অনুভূতির প্রশ্ন সাপেক্ষে বলি, আমাদের হিউম্যান বডিতে আমরা যেকোন কিছু অনুভব করি অবশ্যই নিউরন বা স্নায়ুকোষের মাধ্যমে। আমাদের সম্পূর্ন হিউম্যান বডি কিংবা সম্পূর্ন মস্তিষ্ক জুড়েই কিছু কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন হতে থাকে। এই কেমিক্যালগুলোকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার প্রোপার্টিজ। নিউরোট্রান্সমিটার প্রোপার্টিজগুলোর মাঝে রিঅ্যাকশন সম্পন্ন হয়ে গেলে তার ফলাফল হতে পারে একটা বৈদ্যতিক সিগন্যাল বা ইলেকট্রনের ফ্লো। সেই সিগন্যাল স্নায়ুকোষের মাঝ দিয়ে সঞ্চরণশীল হয়ে নিউরাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে বিভিন্ন যায়গা পৌঁছে যায়। মস্তিষ্কের একটা নির্দিষ্ট অংশে সেই সিগন্যাল এনালাইসইস হয়ে আমরা বিভিন্ন রকমের অনুভূতি পেতে পারি কিংবা স্মৃতি সম্পর্কে অবগত হতে পারি অথবা পারি চিন্তা করতে।

কাজেই ইমোশন বা অনুভূতি যাই বলি না কেন, এই ব্যপারটা ঘটার পিছনে অবশ্যই কোন না কোন নিউরো ট্রান্সমিটারের ভূমিকা আছে। নিউরো ট্রান্সমিটার প্রোপার্টিজ এর মাঝে কেমিক্যাল রিয়্যাকশন না ঘটলে বৈদ্যতিক সিগনাল তৈরি হবেনা। সেই সিগন্যাল নিরোনের মাঝ দিয়ে মস্তিষ্কের একটা সার্টেইন অংশে পৌছাবে না। সেই সার্টেইন অংশে বৈদ্যতিক সিগন্যালটা এনালাইসিস হবেনা। কাজেই কেউ সেই ইমোশন সম্পর্কে কোন রকমের উপলব্ধি করার সুযোগ হবেনা।

আমাদের মানব মস্তিষ্কের একটা মূল্যবান অংশ আছে অ্যামিগডালা। এই অংশটা আমাদের যাবতীয় রকমের ইমোশনের চর্চা করে। অর্থাৎ মানুষের সুখ-দুঃখ, রাগ-ক্ষোভ, অভিমান-কষ্ট এইসব এনালাইসিস হয় এই অংশটাতে। এমনকি ভালোবেসে চুমু খেয়ে ‘ছিঃ যাহ!’ ওই ব্যাপারটাও মেটানোর দায়িত্বটা অ্যামিগডালার কাজ।

একটা মানুষ যখন প্রচণ্ড সুখের অনুভূতি অনুভব করছে, তার মানে তখন তার হিউম্যান বডিতে কিছু স্পেসেফিক নিউরোট্রান্সমিটার প্রোপার্টিজ এর মাঝে কেমিক্যাল রিয়্যাকশন হচ্ছে। রিয়্যাকশন শেষে বৈদ্যতিক সিগন্যালগুলো নিউরাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে অ্যামিগডালাতে পৌছাচ্ছে। এবং সেখানে গিয়ে সিগন্যালগুলো এনালাইসি হয়ে মানুষটা সুখের অনুভূতিটুকু অনুভব করতে পারছে। কাজেই আমরা সোজা সাপটা ভাবে বলে ফেলতে পারি, আমরা যাকিছু অনুভব করি তাকিছু হলো কেমিস্ট্রি। কেমিক্যাল রিয়্যাকশন। বিষণ্ণতাও তাই। হিউম্যান বডিতে সার্টেইন কিছু নিউরোট্রান্সমিটার প্রোপার্টিজ এর মিলেমিশে এক কাপে বসে কফি খাওয়া।

তবে ডাক্তারি কথাবার্তা সারার সুবাদে একটু বলে নিই, শুধু যে অ্যামিগডালাতেই বিষণ্ণতা অনুভূত হয়—ব্যাপারটা এমন না। অ্যামিগডালা ঘিরে রাখে হাইপোথ্যালামাস নামের বিরাট একটা অংশ। এই যায়গাটাতে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের মত ব্যাপারগুলো বিশ্লেষিত হয়। কেউ কেউ মনে করে বাইপোলার ডিস অর্ডার নামের যে ভয়বাহ মানসিক সমস্যাটা আছে, সেটাও হাইপোথ্যালামাসের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি।

আগেই বলেছি কিনা—এই যে আমরা নিউরো ট্রান্সমিটার নামে একটা ভারিক্কি শব্দ বলে চলেছি, এই জিনিসটাকে আমরা হরমোন নামে বেশি চিনি। যদিও কেবল মাত্র ‘হরমোন’ একাই সকল রকমের নিউরোট্রান্সমিটার নয়। যাহোক, হাইপোথ্যালামাস অংশটা পিটুইটারি গ্রন্থি আর এড্রেনাল গ্রন্থির সাথে মিলেমিশে একটা ট্রায়ো গঠন করে। যেটাকে বলা হয় হাইপোথ্যালামিক-পিটুইটারি-এড্রেনাল(HPA). এখান থেকে নির্গত হয় CRH নামের একটা হরমোন। পাটি বাংলায় নাম—কর্টিকোট্রপিন-রিলিজিং-হরমোন। তো এই ট্রায়ো থেকে যে হরমোনাল কার্যকালাপটা হয় সেটাই মানসিক চাপ কিংবা ডিপ্রেশনের পিছনে দায়ী বলে মনে করা হয়। সাদা ভাষায় আমরা যে ট্রায়োর কথা বললাম, সেই ট্রায়ো থেকে যদি হরমোনাল কার্যকালাপ সম্পন্ন হয়ে বৈদ্যতিক সিগন্যাল উৎপন্ন হতে পারে, তাহলেই একটা মানুষ বিষণ্ণতার অনুভূতি অনুভব করবে।

শুধু যে এই একভাবে বিষণ্ণতার অনুভূতি অনুভব হয় তা নয়, আরো অনেক রকমের থিওরি আছে। আরো অনেক রকমের গ্রন্থি আর হরমোনাল ক্রিয়াকালাপের ফসল হিসেবে একটা মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে।

এই পর্যন্ত যারা ধৈর্য ধরে পড়তে পেরেছে তারা মহাপুরুষ। এখন আর বায়োলজিক্যাল কথাবার্তা বলবো না।

মন বলতে আমরা যে ব্যাপারটা বায়োলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরতে পারি, তা হলো মস্তিষ্কের বিশ্লেষণ করা অংশের সমন্বিত একটা সিস্টেম। অর্থাৎ নিউরো সিগন্যাল বিশ্লেষণ হওয়া অংশগুলোকে নিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা। আমরা প্রতিনিয়ত যেসব ঘটনা প্রবাহের ভিতর দিয়ে যাই। সেগুলো আমাদের মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করে। তার প্রেক্ষিতে গ্রন্থিগুলো থেকে বিভিন্ন রকমের হরমোনের ক্ষরণ হয়। হরমোনাল বিক্রিয়াগুলো জন্ম দেয় আমাদের সন্ধ্যের আকাশে অথবা জানালার কাঁচে যত খুঁচরো অনুভূতি জমা হয়, সেইসবের।

আমরা নাহয়, বুঝলাম অনুভূতি কি জিনিস। সেটা কাজ করে কিভাবে? সাথে সাথে একটু বোঝার চেষ্টা করলাম, বিষণ্ণতা ব্যাপারটা কি? বিষণ্ণতা আসেই বা কেমন করে। এখন কথা হলো, এই থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়টা আসলে কি?

এটাই মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। আমরা আমাদের এতসব বিষণ্ণতা দূর করবো কিভাবে? সোজা ভাষায় কয়টা কথা বলার চেষ্টা করবো। প্রথম কথা হলো, আমাদের মাঝে যে নিউরো ট্রান্সমিটারের বিক্রিয়াগুলো হয়, এগুলো কি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? উতনি তো। আমি তো ভালোই আছি। বিষণ্ণতার সময়গুলোতে নিজেকে বোঝাতে হবে, আমি বিষণ্ণতা অনুভব করছি না। বিপরীত একটা তথ্য ঢুকিয়ে দিতে হবে মস্তিষ্কে। এই যেমন আমি আনন্দ পাচ্ছি। কিংবা এখন এক কাপ কফি খেলেই আমার মন ভালো হয়ে যাবে।

পুরো ব্যাপারটাই মস্তিষ্কের মাঝে তথ্য ঢুকিয়ে দেওয়ার চর্চা। সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই, আমরা বিষণ্ণ হই কারন আমরা বিষণ্ণতা অনুভব করতে চাই। একবার যদি নিজেকে বোকা বানিয়ে ফেলতে পারি, তাহলেই হ্যাকিং কমপ্লিট।

 

লেখা: শাহতাজ রহমান।


বিঃ দ্রঃ আগ্রহী পাঠকেরা নিচের লিংকটা পড়ে আসতে পারেন। এখানে ডিপ্রেশনের পিছনে মস্তিষ্কজনিত অসাধারণ একটা তথ্যমূলক আর্টিকেল লিখে রেখেছে হাভার্ড।

What causes depression?

 

Loved this article? Share with your community and friends.

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share