আত্মহত্যা বা, সুইসাইড কি তা হয়তো সহজ বাংলায় প্রায় সবাই বলতে পারবো।আত্মহত্যা হল স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশ করা।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যাবে অনেক আগে থেকেই আত্মহত্যা কে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে সবাই। কিন্তু নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার পরও আত্মহত্যা এখনো মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এমন কি আমাদের দেশেও আশংকাজনক হারে আত্মহত্যার হার বাড়ছে।
World health organization এর প্রতিবেদন মতে, আমাদের বাংলাদেশে শুধু ২০১১ সালে ১৯,৬৯৭ জন আত্মহত্যা করেছে। আর বর্তমানে আত্মহত্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭ তম।
আজ কেন আবার আত্মহত্যা নিয়ে এতো বলার চেষ্টা করছি? কারণ আছে অবশ্যই। এক গবেষণার রিপোর্ট অনুসারে, আত্মহত্যা করা মানুষের মাঝে ৯০% মানুষ মানুষিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে থাকে। এদিক থেকে বলতে গেলে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসাবে এটাকে দেখা যায়। আর এ ব্যপারে আমাদের সচেতনতা প্রায় নেই বলতে গেলেই চলে।
মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের রুগীদের মাঝে সুইসাইডের প্রবণতা অনেকটা বেশী। এমন কি বাইপোলার ডিসঅর্ডার থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সুইসাইডের প্রবণতা বাড়ে প্রায় ২০ শতাংশ। এছাড়া স্ক্রিজোফ্রেনিয়া, পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার(ও.সি.ডি), পোষ্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) সহ বেশ কিছু মানুষিক রোগে আত্মহত্যার প্রবনতা বাড়ে।
এছাড়া যাদের পারিবারে আগে কেও আত্মহত্যা করেছে, ড্রাগ সহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্যে আসক্ত, যদি কেও কোন ধরনের abuse এর শিকার হয়ে থাকে তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি বেশী থাকে।
আত্মহত্যা প্রবণতা ঠেকাতে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি বিপর্যস্ত ব্যক্তিকে মানসিক সহায়তা ও চিকিৎসা জরুরী। এজন্য প্রয়োজনে মানুষিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া জরুরী।
আমাদের সবারই চোখ-কান খোলা রাখা জরুরী। হয়তো, খুব নিকট জনের মনের ভেতর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, একটুখানি সচেতনতা অভাবে তা আমলে আসছে না।
লিখেছেন – আরিফ
তথ্যসুত্রঃ
Suicide – Wikipedia